আজম খান, বাঘারপাড়া (যশোর): ‘ভিক্ষাবৃত্তি স্বীকৃত কোন পেশা নয়। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি।বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের কর্ম বিমুখতার কারণেই ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে’।
বুধবার(৩১ মে) যশোরের বাঘারপাড়ায় ভিক্ষুকদের মাঝে উপকরণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য উঠে আসে। এসময় আর ভিক্ষা করবেন না বলে ওয়াদা করেন উপস্থিত প্রায় একশ’ ভিক্ষুক।
দেশে দারিদ্র্য নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত করার লক্ষ্যে সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী। এদিন বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার বালা, সমাজসেবা কর্মকর্তা এটিএম মাসুদ, কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান চিশতী, পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরিফ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন সঞ্জীব প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে উপজেলার ৭৬ জন ভিক্ষুককে একটি করে ছাগল, ৮ জন ভিক্ষুককে ভ্যানগাড়ি ও ব্যবসা করার জন্য একজন ভিক্ষুককে চাল, ডাল, চিনি,আটা,সাবান মসলাসহ প্রায় ২০ প্রকার মুদি মালামাল তুলে দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।